রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের নীলফামারী জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের ৫৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলেজটির ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোয়াইব খানকে সভাপতি এবং ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল মুরাদকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
তিতুমীরে নীলফামারী জেলা ছাত্রকল্যাণের সভাপতি সোয়াইব, সম্পাদক মুরাদ
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর), তিতুমীরস্থ নীলফামারী জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা মন্ডলীর পরামর্শক্রমে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে আগামী এক বছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যক্রম সম্পর্কে উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নয়ন ওয়াদুদ বলেন, “দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ!” নীলফামারী জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা এর নবগঠিত কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। নীলফামারী বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা, নীলফামারি জেলা থেকে আমাদের তিতুমীর ক্যাম্পাসে প্রতিবছর জেলার নানা উপজেলা থেকে বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীর আগমন ঘটে, সবার সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ বন্ধনে আবদ্ধ থাকার একটি মাধ্যম আমরা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি, সেটি হলো নীলফামারীর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ।
উপদেষ্টা মন্ডলীর অপর সদস্য মোঃ মঈন সরকার বাপ্পী বলেন, উত্তরের জনপদ নীল বিদ্রোহী নুরোলদিনের নীলফামারী । শিক্ষা সংস্কৃতি ও ভ্রাতৃত্বের এই উর্বর ভূমির কৃতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত আমাদের নীলফামারী জেলা ছাত্রকল্যান পরিষদ। এই পরিষদের মহান দায়িত্ব যারা গ্রহণ করলেন আশা করছি তারা তাদের মেধা দিয়ে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল সমন্বয়ের মাধ্যমে আমাদের জেলা সমিতিকে শিক্ষার্থীবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলবেন এবং ঢাকার বুকে একখন্ড নীলফামারীকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখবেন এই প্রত্যাশা করি।
ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক আল মুরাদ বলেন, “সসরকারি তিতুমীর কলেজে অধ্যায়নরত নীলফামারী জেলার সকল শিক্ষার্থীদের আশ্রয়স্থল এ সংগঠন। আমরা শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যায় পাশে থাকতে বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীদের যেকোনও বিষয়ে জেলা সমিতি পাশে থাকবে এবং সংগঠনকে গতিশীল রাখতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যক্রম সম্পর্কে সভাপতি সোয়াইব খান বলেন, “প্রতিবছর নীলফামারী থেকে সরকারি তিতুমীর কলেজে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়। আমাদের কমিটির লক্ষ্য থাকবে নীলফামারী সব শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করা। তাদের সুবিধা অসুবিধা দেখাশুনা করা। শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করা। আমরা জেলার সকল ভাই-বোনের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। আমাদের বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে। সবাইকে নিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব বলে আশা করছি। জেলার শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কাজ করে যাব এটাই প্রত্যাশা।”
ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যক্রম সম্পর্কে সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, বাংলাদেশের উত্তর প্রান্তে অবস্হিত প্রাণের জেলা নীলফামারী। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এ-জেলার মানুষের অবদান ব্যাপক। তবে আমি চাই অর্থনীতির পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার দিক থেকে প্রথম সারিতে এ-জেলার মানুষের অবস্থান দৃশ্যময় হোক। সেই লক্ষে আমার প্রাণের জেলা নীলফামারী থেকে আগত শিক্ষার্থীদের তিতুমীর কলেজে পড়াশোনা ও এর সাথে সম্পৃক্ত সকল দিক গুলো যেনো সহজতম হয়। এর জন্য আমি আপনাদের পাশে সার্বক্ষণিক থাকবো ইনশাআল্লাহ।
কমিটিতে সহ-সভাপতিরা হলেন, আবু তালেব শেখ, মুনতাসার বিল্লাহ, আইনুল ইসলাম, ফরাদ রেজা, রাসেল শাহিদ, মাজহারুল ইসলাম লিমন, আহসান হাবিব, আসাদুজ্জামান আসাদ, সোহেল তানভীর। এছাড়াও যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হলেন, দিপ সিং, ইউসুফ ইসলাম, জহিরুল ইসলাম। সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ও দপ্তর সম্পাদক সোহাগ রায় এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক রিসাদ ইসলাম।
আরও পড়ুন: