Site icon নীলফামারী জিলাইভ | truth alone triumphs

জনমানবশূন্য নীলফামারীর আট রেলওয়ে স্টেশন

নীলফামারীর আট রেলওয়ে স্টেশন – উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীসহ সকল রেলষ্টেশন থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো ট্রেন। আসেনি কোনো ট্রেনও। ফলে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) নীলফামারীর ৮টি সহ প্রতিটি স্টেশন ছিল জনমানবশূন্য। দিন শেষে রাত নামলেও শোনা যায়নি কোন ট্রেনের হুইসেল।

 

জনমানবশূন্য নীলফামারীর আট রেলওয়ে স্টেশন

আজ মঙ্গলবার সেই ভোর থেকে মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারির ডাকে সারা দেশে রেল ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য। ধর্মঘট চলাকালে সকালে স্টেশন গুলোতে অসংখ্য যাত্রী থাকলেও দুপুরের পর রেলওয়ে স্টেশনগুলো ছিল জনমানবশূন্য। মাঝে-মধ্যে দুই-একজন এসেছেন স্টেশনে। তারপর অবস্থা বুঝে ফেরত গেছেন।

নীলফামারী চিলাহাটি, মিরজাগঞ্জ, ডোমার, তরুনীবাড়ি, নীলফামারী, দারোয়ানী, খয়রাতনগর ও সৈয়দপুর রেলষ্টেশন গুলো রাতের বেলা খা-ঁখাঁঁ করছিল। নীলফামারী থেকে সকালে রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস, ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস, খুলনাগামী রকেট মেইল, বেলা তিনটায় রাজশাহীগামী তিঁতুমির এক্সপ্রেস, সন্ধ্যায় খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস, রাত ৮টায় ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়নি। পাশাপাশি কোন ট্রেনও আসেনি।

এছাড়া, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, দ্রুতযান, একতা, রংপুর এক্সপ্রেস, বুড়িমারী ও লালমনি ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ঢাকার পথে ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস রাজশাহী অভিমুখে ছেড়ে যায়নি। রেলওয়ে স্টেশনে আসা যাত্রী সরাফত আলী বলেন, মঙ্গলবার সকালে চিলাহাটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেসে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। আবার রাতের নীলসাগরে ঢাকা যাবো ভাবছিলাম। কিন্তু ট্রেন ধর্মঘটের কারণে যেতে পারেনি। রেলওয়ের রানিং স্টাফদের দাবি পূরণ ও রেল চলাচল শুরুর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছি। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি দূর হবে।

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

নীলফামারীর সীমান্ত ও শেষ স্টেশন চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রুহুল আমিন বলেন, চিলাহাটি থেকে প্রতিদিন ১২টি ট্রেন যাতায়াত করে থাকে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কোনো ট্রেন চলাচল করেনি। যাত্রীরা স্টেশনে এসে ঘুরে যাচ্ছেন। রাতে স্টেশনগুলো জনশুন্য হয়ে পড়েছে।

 

আরও পড়ুন:

Exit mobile version